ছাত্র-জনতার দেশ কাঁপানো আন্দোলনে ৫ আগস্ট ২০২৪ ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের মাধ্যমে টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের বিপুল রায় নিয়ে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ১১ জানুয়ারি ২০২৪ টানা চতুর্থ দফা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার এ কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করা হয়। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রত্যাশী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। লাগাতার আন্দোলনের ফলে ৪ অক্টোবর ২০১৮ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।
উক্ত পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৬ ডিসেম্বর ২০২১ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ৫ জুন ২০২৪ বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পরিপত্র বাতিল করে রায় দেন। ৬ জুন ২০২৪ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর ১ জুলাই ২০২৪ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (Anti-discrimination Students Movement) ব্যানারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূচনা হয়
কোটা আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান
০৫ জুন। বুধবার
- সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
০৬ জুন। বৃহস্পতিবার
- আদালতের দেওয়া রায় বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ।
০৯ জুন। রবিবার
- হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করলে চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
- কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
০১ জুলাই। সোমবার
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামে সংগঠন সৃষ্টি।
- দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে দাবির বিষয়ে চূড়ান্ত সুরাহার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে তিন দিনের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
০৩ জুলাই বুধবার
- আন্দোলনকারীরা ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে। একই দাবিতে আরও ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবরোধ করে।
০৪ জুলাই। বৃহস্পতিবার
• সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ ৷ এ বিষয়ে শুনানি না করে ‘নট টুডে’ বলে আদেশ দেন।
০৬ জুলাই। শনিবার
- আন্দোলনকারীরা সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস- পরীক্ষা বর্জন, ছাত্রধর্মঘট এবং সারা দেশে সড়ক- মহাসড়ক অবরোধের ডাক দেয়। এর নাম দেওয়া হয় ‘বাংলা ব্লকেড’।
০৭ জুলাই। রবিবার
- অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা।
০৮ জুলাই। সোমবার
- সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধু সংবিধান অনুযায়ী, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম কোটা রেখে সংসদে আইন পাশের দাবি।
০৯ জুলাই। মঙ্গলবার
- হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থীর আবেদন।
১০ জুলাই। বুধবার
- আপিল বিভাগ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন।
১৩ জুলাই। শনিবার
- সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা।
- কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা পরিস্থিতিকে সহিংস করে তোলে।
১৪ জুলাই। রবিবার
- পদযাত্রা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়ে আন্দোলনকারীরা জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডের কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়।
আরো পড়ুন : গণহত্যা মানবতাবিরোধী অপরাধ
১৫ জুলাই। সোমবার
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের অন্য কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালায়।
১৬ জুলাই। মঙ্গলবার
- আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।
- সারা দেশে দিনভর ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ।
- সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হল খালি করতে বলা হয়।
- সরকার ছয়টি জেলায় বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মোতায়েন করে।
- রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরস্ত্র শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে।
১৭ জুলাই! বুধবার
- বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিতাড়ন করে ‘রাজনীতিমুক্ত’ ঘোষণা।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের দিন নিহতদের ‘গায়েবানা জানাজা’ চলাকালে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
- শিক্ষার্থীরা সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে; হাসপাতাল ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেয়।
- শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বিক্ষোভকারীদের বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানান এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা দেন।
১৮ জুলাই। বৃহস্পতিবার
- শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারা দেশ অচল।
- সারা দেশে বিজিবি মোতায়েন।
- সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
১৯ জুলাই শুক্রবার
- ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা সর্বাত্মক অবরোধের কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর, গুলি, অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নয় দফা দাবি ঘোষণা করেন।
- রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি, সেনাবাহিনী মোতায়েন।
২০ জুলাই। শনিবার
- দেশজুড়ে কারফিউ, সেনা মোতায়েন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারফিউ থাকার ঘোষণা।
- আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তিন সমন্বয়কের বৈঠক এবং আট দফা দাবি পেশ।
২১ জুলাই। রবিবার
- কোটা বিরোধী আন্দোলনের মুখে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ পূর্বের কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ৯৩% মেধা ও ৭% কোটা রাখার পক্ষে রায় দেন। তবে সরকারের নির্বাহী বিভাগ চাইলে নির্ধারিত কোটা বাতিল, সংশোধন বা সংস্কার করতে পারবে।
২২ জুলাই। সোমবার
- প্রধানমন্ত্রী কোটাপ্রথা সংস্কার করে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তৈরি করা প্রজ্ঞাপন অনুমোদন দেন।
- কমপ্লিট শাটডাউন ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থগিতের ঘোষণা দেয় কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
- সাধারণ ছুটির মেয়াদ ও কারফিউ বৃদ্ধি করা হয়।
২৩ জুলাই। মঙ্গলবার
- সরকারি চাকরির নিয়োগে সব গ্রেডে ৯৩% মেধা ও ৭% কোটার বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারি এবং একই সাথে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
২৪ জুলাই। বুধবার
- নির্বাহী আদেশে তিনদিন সাধারণ ছুটির পর অফিস চালু হয়। কারফিউ শিথিলের সময় বৃদ্ধি করা হয়।
২৬ জুলাই। শুক্রবার
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
২৭ জুলাই। শনিবার
- আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধরতে এলাকায় এলাকায় ‘ব্লক রেইড’ পরিচালনা শুরু হয়
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
২৮ জুলাই। রবিবার
- কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
- ডিবির হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক এক ভিডিও বার্তায় সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা বলে।
- ঢাকাতে ২০০টিরও বেশি মামলায় দুই লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয় ৷
- মোবাইল ইন্টারনেট সচল হলেও বন্ধ রাখা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
২৯ জুলাই। সোমবার
- ১৪ দলের বৈঠকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য জামায়াত- শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত।
৩০ জুলাই। মঙ্গলবার
- জাতিসংঘ মহাসচিবের বিবৃতি, সকল হত্যাকাণ্ডের স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান।
- কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে সারা দেশে শোক পালন করে সরকার।
- সেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ফেসবুক প্রোফাইল লাল করার এবং চোখে কালো কাপড় বেধে ছবি পোস্ট করার আহ্বান জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা ৷
৩১ জুলাই। বুধবার
- ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি
ঘোষণা করে।
০১ আগস্ট। বৃহস্পতিবার
- ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
- সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি।
- নিহতদের স্মরণে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ শিরোনামে কর্মসূচি পালন করা হয়।
০২ আগস্ট। শুক্রবার
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জুমার নামাজের পর ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হয়।
- শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের ‘দ্রোহযাত্রা’ কর্মসূচি পালন ৷
- শিল্পী সমাজের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদে শামিল হন সর্বস্তরের মানুষ
০৩ আগস্ট। শনিবার
- সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ।
- ছাত্রদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাখো মানুষ সমবেত হয়।
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাব দিলে প্রত্যাখান করে সমন্বয়করা।
০৪ আগস্ট। রবিবার
- সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে সারা দেশে ব্যাপক সংঘাত।
- বিক্ষোভকারীরা সারাদেশে নাগরিকদের ‘মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির আহ্বান জানায়। শুরুতে ৬ জুলাই ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির আহ্বান জানানো হলেও পরে তা একদিন আগে ৫ আগস্ট করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
- প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ‘শক্ত হাতে নাশকতাকারীদের প্রতিহত করার’ আহ্বান জানান।
০৫ আগস্ট। সোমবার
- রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর বঙ্গভবন থেকেই হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন।
- সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন।
- শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে অসংখ্য মানুষ।
- ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন।
- রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বিএনপি; জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করেন।